প্রতিদিন রাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে লোডশেডিং হচ্ছিল এলাকায়। একই সময়ে বিদ্যুৎ চলে যায় আবার নির্দিষ্ট সময়ে চলেও আসে। অনেক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ শুরু হয় গ্রামবাসীর মনে।

আর তাই সব কিছু ঠিক থাকা সত্ত্বেও কেন এ রকম হচ্ছে তার তথ্যানুসন্ধানে নামেন গ্রামবাসীরা। যে বিষয়টি তাদের সবচেয়ে ভাবিয়ে তুলেছিল, তা হলো- একই সংযোগ থেকে দুই গ্রামে বিদ্যুৎ এসেছে। পাশের গ্রামে বিদ্যুৎ থাকলেও প্রতি রাতে কেনে একটি নির্দিষ্ট সময় বিদ্যুৎ থাকে না তাদের গ্রামে?

ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ট্রিবিউনের বরাতে সিয়াসত ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিহার রাজ্যের পূর্ব দিকের পূর্ণিয়া জেলার গণেশপুর গ্রামে এমনটাই হচ্ছিল কয়েক মাস ধরে। শেষমেশ গ্রামবাসীরা স্থির করেন- যেভাবেই হোক এই সমস্যার উৎস খুঁজতে হবে।

গ্রামেরই এক প্রান্তে বিদ্যুতের মূল সংযোগকারী খুঁটি রয়েছে। সেখান থেকে গোটা গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। সেখানেই নজর রাখা শুরু করলেন গ্রামবাসী। তারা দেখেন- গ্রামেরই এক বিদ্যুৎমিস্ত্রি খুঁটিতে উঠলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন। তারপর নেমে সোজা হাঁটা দিলেন।

তাকে অনুসরণ করেন গ্রামের কয়েকজন। তারা দেখেন, ওই বিদ্যুৎমিস্ত্রি গ্রামেরই সরকারি স্কুলে ঢুকে পড়লেন। স্কুলের ভেতরে আগে থেকেই হাজির এক তরুণী। বিদ্যুৎমিস্ত্রি সোজা তার কাছে চলে যান। গ্রামবাসীরাও তাদের নজরে রাখছিলেন। ঘণ্টা দুয়েক তরুণীর সঙ্গে কাটানোর পর আবার সেই বিদ্যুৎমিস্ত্রি স্কুল থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিক করতে। কেন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছিল এত দিন ধরে সেই সমস্যার সূত্র খুঁজে পাওয়ার পর ওঁত পেতে ছিলেন গ্রামবাসী।

গত বুধবার গ্রামের বিদ্যুৎ চলে যেতেই কয়েকজন গ্রামবাসী আগে থেকেই হাজির হন ওই স্কুলে। বিদ্যুৎমিস্ত্রি সেখানে পৌঁছতেই প্রেমিকাসহ দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারা।
জেরায় ওই বিদ্যুৎমিস্ত্রি গ্রামবাসীদের জানান, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার জন্য গ্রাম অন্ধকার করে দিতেন তিনি। এরপরই পঞ্চায়েত প্রধানের উপস্থিতিতে দুজনের বিয়ে দিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।

তথ্যসূত্রদ্য ট্রিবিউন।